ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়া মামলা করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার পরিবর্তে এখন থেকে গুনতে হবে ৫০ হাজার টাকা। এমন বিধান যুক্ত করে সিপিসির (কোড অব সিভিল প্রসিডিউর) সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান তিনি। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন অচিরেই শুরু হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা কথা আছে কারও সঙ্গে শত্রুতা করতে গেলে একটা ল্যান্ড মামলা জুড়ে দাও। ফলে তিন জেনারেশন সে মামলা শেষ হবে না। তিন জেনারেশন যেন না লাগে, এক জেনারেশনেই যেন মামলা শেষ হয়- সেজন্য সিপিসির (কোড অব সিভিল প্রসিডিউর) কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। যাতে করে যারা বিচারপ্রার্থী তাদের সময় কম লাগে, তাদের টাকা কম লাগে। এজন্য সিপিসির কিছু কিছু পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকারের সময়ে প্রণীত সিপিসির সংশোধন নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
রিজওয়ানা বলেন, আমরা যারা যারা উকিল আছি নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে সময় নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করি। সেটা যেন আর না হয়, সেরকম কতগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বারবার বিভিন্ন সময়ে সময় নেওয়ার কথা বলা হতো, উকিলরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সময় নেবেন- সর্বোচ্চ কতবার সময় নেওয়া যাবে তা এখানে বলে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগে একটা মামলার রায় হয়ে যাওয়ার পরেও এ মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য আবার জারি মোকদ্দমা করতে হতো। এখন বলা হচ্ছে যখন রায় দেওয়া হবে, ওই রায়ের মধ্যেই এই পিটিশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার প্রক্রিয়া এখনো সেকেলে রয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করতে সমনজারি এখন থেকে টেলিফোন, মেসেজ কিংবা অন্য আধুনিক যে প্রযুক্তি রয়েছে তার মাধ্যমে করা যাবে। কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়া মামলা করা হলে আগে ২০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড ছিল, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে বলেও জানান রিজওয়ানা।
Leave a Reply